বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ‘আর্মি অব ইসলাম’ নামে বিশাল সামরিক বাহিনী গঠন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। দেশটির এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ইসরায়েল দখল এমনকি দেশটিতে হামলা চালাতেও সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে এই ‘আর্মি অব ইসলাম’ নামক সামরিক বাহিনী।

তুরস্কের স্থানীয় ভাষার দৈনিক ইয়েনি সাফাক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।


খবরে বলা হয়েছে, মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর জোট ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) ৫৭ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬৭ কোটি ৪৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৩১ জন।

এসব দেশের সক্রিয় সৈন্য রয়েছে প্রায় ৫২ লাখ। মুসলিম দেশগুলোর সামরিক বাজেট প্রায় ১৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ওআইসির সদস্য দেশগুলো যদি এই সামরিক বাহিনী গঠনে সম্মত হয় তাহলে তা ইসরায়েলি বাহিনীর চেয়ে বেশি শক্তিশালী হবে।

একই সঙ্গে ইসরায়েলে হামলা এমনকি দেশটি দখলেও নিতে পারবে এ বাহিনী।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৪ জন।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সক্রিয় সেনা রয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার; বার্ষিক সামরিক বাজেট প্রায় ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হাতে পাচ্ছে তুরস্ক

বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ আগামী ১২ মাসের মধ্যে পেতে যাচ্ছে তুরস্ক। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইয়েনি সাফাক।


পত্রিকাটি জানায়, ২০১৪ সালে এফ-৩৫ এর ৩০টি বিমান অর্ডার দিয়েছিল তুরস্ক সরকার। আরও ৭০টির অর্ডার দেয়ার চিন্তা রয়েছে। প্রতি বছর ১০টি করে যুদ্ধবিমান পাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে, যা শুরু হবে ২০১৯ সালের শুরুতেই।

জয়েন্ট স্ট্রাইক ফাইটার নামের একটি প্রকল্পে আওতায় ১০টি দেশ মিলে কয়েক ডিজাইনে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান নির্মাণ করছে। উদ্যোক্তা দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কও রয়েছে।

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি মুহূর্তের মধ্যে মাটি থেকে সরাসরি উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারে। এজন্য লম্বা রানওয়ের প্রয়োজন হয় না।

ইয়েনি সাফাক জানায়, প্রকল্পে যে কয়টি তুর্কি অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে তাদের লভ্যাংশ ১২ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছে।

 


Comments