খেলার নাম ‘সাইডওয়াল স্কিয়িং’, যা বিপজ্জনক শখও বটে। একঘেঁয়ে জীবনে একটুখানি উত্তেজনা পেতে সৌদি তরুণরা এ ধরনের বিপজ্জনক শখ বেছে নিয়েছে। দুই চাকায় গাড়ি চালানো খেলাটির নাম ‘সাইডওয়াল স্কিয়িং’।


এর মানে হল, চার চাকার গাড়িকে দুই চাকায় চালানো এবং সেই সময় যাত্রীদের কিছু দুঃসাহসী কসরত দেখানো। এটিই কিছু সৌদি তরুণের প্রিয় খেলা হয়ে উঠেছে। ডয়চে ভেলে।

চালকের কাজ স্টিয়ারিং ধরে গাড়ির ভারসাম্য রক্ষা করা। আর যাত্রীবেশে যারা গাড়িতে থাকেন, তারা কেউ হয়তো জানালা দিয়ে শরীর বের করেন, কেউ বাতাসে ভেসে থাকা টায়ার খোলেন।

এ বিপজ্জনক খেলার দুটি উপায় আছে।

এক. গাড়ির এক পাশের দুই চাকা কোনো র‌্যাম্পে (একতলা থেকে আরেক তলায় যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত ঢালু পথ) তোলা এবং তারপর গাড়ি চালানো শুরু করা।

দুই. একটি নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালিয়ে খুব দ্রুত মোড় নেয়া। এছাড়া যে দুই চাকা সড়কের সঙ্গে লাগানো থাকবে, সেগুলোর হাওয়া কিছুটা কমিয়ে রাখেন অনেকে।

ডেনমার্কের টোনি পেটারসন ১৯৬৪ সালে নিউইয়র্কে ‘ওয়ার্ল্ড ফেয়ার’ চলাকালীন প্রথমবার ‘সাইডওয়াল স্কিয়িং’ দেখিয়েছিলেন। তাছাড়া নাইটরাইডার, দ্য ডিউকস অব হ্যাজার্ড, ট্রান্সফরমার্স, জেমস বন্ড সিরিজের দুটি মুভিসহ বিভিন্ন টেলিভিশন সিরিজ ও চলচ্চিত্রে এ স্টান্ট ব্যবহার করা হয়েছে।

সৌদি তরুণরা যখন এমন দুঃসাহসিক স্টান্টে অংশ নেন, তখন তাদের অতিরিক্ত কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

সাধারণত মরুভূমি এলাকার মধ্য দিয়ে রাস্তা গেছে, এমন জায়গায় এ খেলা খেলেন তরুণরা। কারণ এমন রাস্তায় তেমন গাড়ি চলাচল করে না।

 


Comments