সাজেশন দেয়ার নামে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় চন্ডিপুর এটিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার গাইবান্ধার শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এম. আলী আহম্মদ আলোচিত এই মামলার আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেন।
এসময় আদালতের কাঠগড়ায় আসামি সাজ্জাদুল করিম টিপু উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আসামিপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপুর জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
অভিযোগ (চার্জ) গঠনের যুক্তি তর্কে রাষ্ট্রপক্ষে শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন এবং আসামি পক্ষে অন্তত ১০ জন আইনজীবী অংশ নেন।
শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট শাহীন গুলশান নাহার মুনমুন বলেন, ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে চন্ডিপুর এটিএম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক সাজ্জাদুল করীম টিপু সাজেশন দেয়ার কথা বলে ছুটির পর নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে থাকতে বলে।
পরে তাকে বিদ্যালয়ের বাথরুমে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। পরে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি বাবা-মাকে জানায়।
পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রতিকার না মেলায় এই ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
গত ৩ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপুর বিরুদ্ধে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। ওই দিন পুলিশ শিক্ষক সাজ্জাদুল করিম টিপুকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।
এদিকে তদন্ত শেষে ২৯ দিনের মাথায় সুন্দরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাঃ আতিয়ার রহমান গত ৩১ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল।