শরীয়তপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ শরীয়তপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হোসেন মো. আলমগীর মৃধাকে (৩৮) হাতুড়িপেটা করেছে সন্ত্রাসীরা।
তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শুক্রবার প্রাতভ্রমণে বের হলে কাগদী দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিকালে প্যানেল মেয়রের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে হামলাকারী শাহজালাল বেপারী, শাহজালাল মাদবর ও সাদ্দাম মাদবরের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় শাহজালাল বেপারী, শাহজালাল মাদবর ও সাদ্দাম মাদবরকে আসামি করে প্যানেল মেয়রের স্ত্রী পারভিন আকতার বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলার জন্য অভিযোগ করেছেন।
আহতের বড় ভাবী রোবিনা আক্তার জানান, আলমগীর মৃধা ফজরের নামাজ পড়ে মর্নিংওয়াক শেষ করে জাকির মাদবরের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। এ সময় তিন মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী শাহজালাল বেপারী, শাহজালাল মাদবর ও সাদ্দাম মাদবর তার ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি মাথায় ও হাঁটুতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
তার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে হাসপাতালে নেয়। পরিবারের ধারণা মাদকবিরোধেী কমিটি করার কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা এ হামলা চালিয়েছে।
আলমগীর মৃধার বড় ভাই আঃ রাজ্জাক বলেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের চিনতে পেরেছি। আমরা এদের বিচার চাই।
প্যানেল মেয়রের স্ত্রী পারভিন আকতার বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আমি অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।