কোটা বিরোধী আন্দোলকারী সন্দেহ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাসে হামলা হয়েছে। ছাত্রলীগের এই হামলার ঘটনায় কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
রবিবার বিকেলে সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে।
হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্ররা জানান, বিশ্বদ্যিালয়ের ৩টি ছাত্রবহনকারী বাস পুলিশ লাইনে কুমিল্লা সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাসগুলোর উপর হামলা করে কুমিল্লা মহানগর ও কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা ছাত্রবহনকারী বিআরটিসির একটি বাস সম্পূর্ণ ভাংচুর করে।
এসময় ওই তিনটি বাসে থাকা ছাত্ররা নেমে এসে হামলাকারীদের উপর পাল্টা হামলা করে। লাঠি এবং ইট-পাটকেল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় ঝাউতলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস সড়কে আড়াআড়ি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সড়ক বন্ধ করে দেয়।
ছাত্রলীগের কর্মীরা কুমিল্লা সরকারি কলেজে অবস্থান নিয়ে হামলা করে। তারা মুখোশ পরে ছাত্রদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠি নিয়ে তাড়া করে। এ সময় কয়েকটি দোকান ভাংচুর করা হয়। নগরীর ওই এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির পর তারা নগরীতে গাড়িযোগে প্রবেশ করছিলেন। এ সময় তারা অতর্কিত হামলার মুখে পড়ে। ছাত্ররা কোটা বিরোধী আন্দোলন করতে পারে সন্দেহে তারা এই হামলা চালায়।
এতে ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর এ হামলার বিচার চাইতে পুলিশের কাছে চাইতে গেলে পুলিশের সামনেই তাদের উপর আবারো হামলা হয়।
এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আবদুল আজিজ সিহানুক বলেন, আমরা এই হামলার সাথে জড়িত নই। এটি সাধারণ ছাত্রদের বিষয়।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( উত্তর ) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, হামলার কারণ এখনো জানা যায়নি। এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। স্বাভাবিক হলে তদন্ত করে হামলার কারণ জানা যাবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের বলেন, তিনি ঢাকায়। তবে ছাত্রদের বাসে হামলার খবর পেয়েছেন।