তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরুর পর সেখানে আজান দেয়া নিষিদ্ধ করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলের সেনাদের নির্বিচার গুলিবর্ষণে অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলি দূতাবাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। খবর ইয়ানি সাফাক।
দূতাবাস উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে বহু ব্যানার প্রদর্শন করা হয়। ওইসব ব্যানারে 'ট্রাম্প মেক ইসরাইল গ্রেট' এবং 'ট্রাম্প ইজ এ ফ্রেন্ড অব জিওন' স্লোগান লেখা ছিল।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে ফিলিস্তিনিরা গাজায় বিক্ষোভ করতে থাকলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী নির্বিচারে তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে এ পর্যন্ত ৪১ ফিলিস্তিনি নিহত ও প্রায় ২০০০ জন আহত হয়েছে।
নির্বিচার গুলিতে ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত, আহত ২০০০
ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরাইলের সেনাদের নির্বিচার গুলিবর্ষণে অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ভূমি দিবস উপলক্ষে গত ছয় সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরাইলবিরোধী যে বিক্ষোভ চলছে তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার বাইতুল মোকাদ্দাসে মার্কিন দূতাবাস খোলার দিনে এ ভয়াবহ হামলা চালানো হলো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত অন্তত ৫২ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়া ছাড়াও প্রায় ২০০০ জন আহত হয়েছেন।
গাজা সীমান্তজুড়ে অবস্থান নেয়া দখলদার ইসরাইলি স্নাইপাররা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।
নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে গত ৩০ মার্চ থেকে ভূমি দিবস পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা। তখন থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনারা গুলি করে ৯৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা হলেও ইসরাইলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মার্কিন সরকার ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো এ বর্বরোচিত গণহত্যাকে সমর্থন করেছে।
কুদস দখলদার ইসরাইলি সেনারা গাজা সীমান্তকে সামরিক এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।
সোমবার আরও পরে অধিকৃত বায়তুল মোকাদ্দাস শহরে মার্কিন দূতাবাস খোলার কথা রয়েছে।