মু. শরীফুল হক

ইসলাম সামর্থবানদের উপর যাকাত ফরজ বা Obligatory করে দিয়েছে। অর্জিত সম্পদ যাকাতযোগ্য হলে আর সে সম্পদের উপর নির্ধারিত পরিমাণ যাকাত প্রদান না করলে সম্পুর্ন অর্থ-সম্পদই ত্রুটিযুক্ত বা অবৈধ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই আমাদের যাকাত প্রদানে সচেতন হতে হবে।

যাকাত প্রদানের ক্ষেত্রেও শতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেমন যাকাতের অর্থ বা সম্পদের অংশবিশেষ ব্যায়ের খাত নির্ধারিত রয়েছে।

নিম্নলিখিত ৮ টি খাতে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা ফরয—

(১) ফকীরঃ ফকীর ওই ব্যক্তি যে খুবই সামান্য সহায় বা সম্বলের অধিকারী।

(২) মিসকীনঃ মিসকীন ওই ব্যক্তি যার আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি এবং আত্মসম্মানের খাতিরে কারও কাছে কিছু চাইতে পারে না।

(৩) আমিলঃ যাকাত আদায় ও বিতারণের কর্মচারী।

(৪) মন জয় করার জন্য নও মুসলিমঃ অন্য ধর্ম ছাড়ার কারণে পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে বঞ্চিত হয়েছে। এমতাবস্থায় তাদেরকে সাহায্য করে ইসলামের উপর সুদৃঢ় করা।

(৫) ঋনমুক্তির জন্যঃ জীবনের মৌলিক বা প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য সঙ্গত কারণে ঋনগ্রস্ত ব্যক্তিদের ঋন মুক্তির জন্য যাকাত প্রদান করা।

(৬) দাসমুক্তিঃ মালিকের অধিনস্ত কোন কৃতদাসের মুক্তির জন্য।

(৭) ফী সাবীলিল্লাহ বা জিহাদঃ অর্থ্যাৎ ইসলামকে সমুন্নত বা বিজয়ী করার লক্ষ্যে যারা কাফির বা বিধর্মীদের সাথে জিহাদে লিপ্ত সে সকল মুজাহিদদেরকে প্রয়োজনে যাকাত দেয়া যাবে।

(৮) মুসাফিরঃ মুসাফির অবস্থায় কোন ব্যক্তি বিশেষ কারণে অভাবগ্রস্ত হলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে যতই ধন-সম্পদ থাকুক না কেন তাকে যাকাত প্রদান করা যাবে।

কুরআন উল কারীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, “যাকাত কেবল ফকীর, মিসকীন, যাকাত আদায়কারী কর্মচারীদের জন্য, যাদের মন আকর্ষণ করা প্রয়োজন অর্থ্যাৎ নও মুসলিমদের জন্য, দাস মুক্তির জন্য , ঋণে জর্জরিত ব্যক্তিদের ঋণমুক্তির জন্য, আল্লাহপাক এর রাস্তায় জিহাদকারী এবং মুসাফিরের জন্য।

এটা আল্লাহপাক উনার তরফ থেকে নির্ধারিত বিধান এবং আল্লাহপাক সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।”

(সূরা আত- তাওবাঃ আয়াত ৬০)

 


Comments