কানাডা সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে কী পরিমাণ শরণার্থী আশ্রয় দিবেন তা পরিষ্কার করে জানায়নি। আশ্রয়ের বিষয়ে অন্য দেশ ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায়।

খবর ডেইলি সাবা

বুধবার কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেরিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।


এ সময় তিনি বিশেষ করে মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্গনের পেছনে যারা দোষী তাদের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আশ্রয়ের প্রস্তাব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনাকে বাদ দেয়নি, কারণ তারা বলেছিলেন রোহিঙ্গাদের তারা প্রত্যাবর্তন করতে চান।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু মিয়ানমারে বর্তমান পরিস্থিতি তাদের জন্য নিরাপদ না।

গত আগস্টে মায়ানমারের রাখাইনে রাজ্যে সেনাবাহিনীর শুরু হওয়া অত্যাচার নিপীড়নে সাত লাখেরও বেশি সংখ্যালগু রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছে।

তাদের সেনাবাহিনীর ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ গ্রামেই হত্যা, ধর্ষণের মতো অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু মিয়ানমার বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে জাতিগত শুদ্ধির জন্য অভিযানের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

"রোহিঙ্গারা তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার অধিকার রাখে কিন্তু তাদের ফেরতের শর্ত বর্তমানে চলমান নেই" উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন। "নিপীড়ন এখনও ঘটছে।"


মন্ত্রী কত শরণার্থী নেয়া হবে পরিস্কার না করে বলেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পুর্নবাসনের কথা বলেন। মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের মিয়ানমার নভেম্বরে ফেরত দেয়ার জন্য কথা থাকলেও বর্তমানে এ প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। উভয়পক্ষ বিলম্বের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং লঙ্ঘনের জন্য যারা দোষী সাব্যস্ত "জাতিগত শুদ্ধি" এবং "মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের" জন্য দায়ী তাদের বিচারের জন্য অটোয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সঙ্গেও কাজ করবে।

তিনি বলেন, "এই অত্যাচারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বুঝতে হবে যে তারা বিচারের মুখোমুখি হবে, বিশ্ব সম্প্রদায় দেখছে। সেখানে তাদের লুকানোর জায়গা থাকবে না"।

 


Comments