টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কিন্তু যে বোলারদের উপর ভরসা ছিল আফগান ব্যাটসম্যানরা তাদের পরোয়া করেননি। নির্ধারিত ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখেই তুলে নেয় ১৬৭ রান।

জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তানের সামনে অসহায় দেখিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ভারতের দেরুনের প্রথম অন্তর্জাতিক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ১ ওভার হাতে রেখেই লজ্জার হার। জবাব দিতে নেমে টাইগাররা গুটিয়ে গেছে ১২২ রানে।


৩ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান। র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা সদ্য টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলটির সামনে এখন সিরিজ জয়ের হাতছানি। সেই সঙ্গে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগও।

এ সিরিজের আগে যে রশিদ খানকে নিয়ে ভয় ছিল মূলত তার কাছেই আত্মসমর্পন করেছে সাকিব বাহিনী। আফগান এ লেগি তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান খরচ করে ৩ উইকেট নিয়ে। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।

আরেক প্রান্তে সাপুর জার্দানও কম যাননি। এ পেসার ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট।

আর বাংলাদেশে বিপিএলে নিয়মিত মুখ মোহাম্মদ নবী দেখিয়েছেন অভিজ্ঞতার ভেলকি। তিনিও নিয়েছেন সবচেয়ে মূল্যবান দুটি উইকেট। যেখানে বাংলাদেশর পেস ও স্পিন বিভাগ ছিল একেবারেই ব্যর্থ।

১৬৮ রানের জবাব দিতে নেমে দেশের সেরা ওপেনার তামিম কোন রান করারই সুযোগ পাননি। শুরুতেই তাকে ফিরিয়ে লেগ স্পিন আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন তরুণ মুজিব উর রহমান।

এরপর লিটন কুমার দাসকে নিয়ে অধিনায়ক সাকিব দলের হাল ধরেছিলেন। কিন্তু ১৫ রানের সময় মোহাম্মদ নবীর বলে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও চেষ্টা করেছেন লিটনের সঙ্গে। ২০ বলে ৩০ রান করা লিটন দারুণ খেলছিলেন।

কিন্তু রান তাড়া করার তাড়াহুড়ায় নবীর দ্বিতীয় শিকার তিনি। বলতে গেলে বাংলাদেশের মেরুদন্ডে আঘাত করেছেন নবী। এরপর মুশফিকও ভরসা হতে পারেননি। ২০ রান করেই ধরেছেন সাজঘরের পথ। রশিদ খানের লেগ ভেলকি এখান থেকেই শুরু।

পরের বলেই টাইগারদের স্পেসালিস্ট টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানকে ফিরিয়ে টাইগারদের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ডটাই ভেঙ্গে দেন। বাকি কাজটা সেরেছেন সাপুর জার্দান। তার প্রথম শিকার ২৯ রান করে দলকে লড়াইয়ে রাখা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

১৪ রান করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের লড়াই ধামিয়ে রশিদ তুলে নেন তৃতীয় উইকেট। পেসার সাপুরের শিকার বাংলাদেশের দুই পেসার আবুল হাসান রাজু রুবেল হোসেন।

 


Comments