‘আইন অন্ধ। আইন সবার জন্য সমান। আইন-আদালতের কোনো দয়ামায়া নেই’- বিচার ব্যবস্থার এমন কঠিন-নিষ্ঠুর অবস্থানের আরও একটি প্রমাণ মিলল খোদ ইউরোপেই।
সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত পার হওয়ায় এক গর্ভবতী গাভীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পেনকা নামের ওই গাভীটির তিন সপ্তাহ পর বাচ্চা প্রসব করার কথা। সম্প্রতি গাভীটি বুলগেরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম কপিলোভস্তিতে তার পাল থেকে বের হয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অসদস্য দেশ সার্বিয়ায় ঢুকে পড়ে।
কয়েক ঘণ্টা পরেই অবশ্য গাভীটি তার মালিক হারাম্পিয়েভের কাছে ফিরে আসে। কিন্তু ততক্ষণে তার আইন ভাঙার কথা এক কান দু’কান করে ছড়িয়ে পড়ে সারা গ্রামে। আর এতেই বাড়ে বিপত্তি।
এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে ইইউ আইন অনুযায়ী, গাভীটির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে বুলগেরিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
পশু চিকিৎসক লিউবোমিরভ বলেন, ‘আসলে এসব ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরা শুধুই আইনের বাস্তবায়ন করি। আইন তো পাস হয় সেই ব্রাসেলস থেকেই।’
রক্ষণশীল দলের এমপি জন ফ্ল্যাক এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বয়কো বরিসভ ও ইইউর প্রেসিডেন্ট অ্যান্টনিও তাজানির কাছে চিঠি লিখেছেন। তিনি বলেছেন, কঠোর আইনের নামে এই অযাচিত হস্তক্ষেপ সুনিশ্চিতভাবে বন্ধ করা উচিত।
চেঞ্জ ডট অর্গ পিটিশন নামে একটি গ্রুপ গাভীটির ব্যাপারে ছাড় দেয়ার জন্য ইতিমধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, পেনকার ঘটনায় ইইউ কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের জন্য যে ছাড় দেয়া হয়, তা দেননি, আর পেনকার মালিক ইতিমধ্যে উন্মাদপ্রায়।’