জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
যেসব পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে:
রড: স্ক্র্যাপ আমদানির শুল্ক ১ হাজার থেকে কমিয়ে ৮০০ টাকা ও রড তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের ওপর আরোপিত সংরক্ষণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এতে বাজারে রডের দাম কমতে পারে।
গুঁড়া দুধ: গুঁড়া দুধ আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
রুটি-বিস্কুট: গরিবের খাবার রুটি-বিস্কুটের দাম কমবে। কারণ ১০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি হাতে তৈরি রুটি-বিস্কুটকে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
হাওয়াই চপ্পল: শর্তসাপেক্ষে ১৫০ টাকা পর্যন্ত প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে এ জাতীয় পণ্যের দাম কমবে।
বীজ: কৃষিকাজে ব্যবহৃত বীজ আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে চাষাবাদে ব্যবহৃত বীজের দাম কমতে পারে।
সফটওয়্যার: সব ধরনের সফটওয়্যার আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে সফটওয়্যারের দাম কমতে পারে।
যানবাহনের লিফ স্প্রিং: বাস-ট্রাকে ব্যবহৃত লিফ স্প্রিং আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করায় এ পণ্যটির দাম কমতে কমতে পারে।
ওষুধ: কিডনি রোগের প্রতিষেধক আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে কিডনি রোগীরা কিছুটা কম দামে হলেও ওষুধ কিনতে পারবেন।
মোটরসাইকেল: দেশীয় মোটরসাইকেল শিল্পের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি মোটরসাইকেল তৈরির যন্ত্রাংশের শুল্ক কমানো হয়েছে।
রেফ্রিজারেটর: দেশীয় রেফ্রিজারেটর শিল্পের ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রেফ্রিজারেটর তৈরির যন্ত্রাংশের শুল্ক কমানো হয়েছে।
টায়ার-টিউব: টায়ার-টিউব উৎপাদনের কাঁচামালের শুল্ক কমানো হয়েছে। এতে দেশীয় তৈরি টায়ার-টিউবের দাম কমতে পারে।
এছাড়াও ভুট্টার আটা, অ্যালুমিনিয়াম তার, কলমের কালি, পোল্ট্রিশিল্পে ব্যবহৃত সয়াবিন ওয়েল কেক, জাল, কার্বন রডের দাম কমতে পারে।
উপরোক্ত পণ্যের দাম কমার পাশাপাশি যেসব পণ্যের দাম বাড়বে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
গাড়ি: পুরনো গাড়ি আমদানির অবচয় সুবিধা বছরভেদে ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এতে সব ধরনের রিকন্ডিশন গাড়ির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
ফার্নিচার: বিভিন্ন ফার্নিচারের ভ্যাটের হার পরিবর্তন করা হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে ৬ শতাংশের স্থলে ৭ শতাংশ এবং বিপণন পর্যায়ে ৪ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
ফলের জুস: উৎপাদন পর্যায়ে সব ধরনের ফলের জুসের ট্যারিফ মূল্য বাড়ানো হয়েছে। এতে করে স্থানীয় বাজারে সব ধরনের ফলের জুসের দাম বাড়তে পারে।
এনার্জি ডিংক: যুবকদের পছন্দের এ পানীয় উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করায় বাজারে এনার্জি ড্রিংকসের দাম বাড়বে।
বডি স্প্রে: তীব্র গরমে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে বাচতে বডি স্প্রে ব্যবহৃত হয়। এ পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় এ দাম বাড়বে।
ফিলামেন্ট বাল্ব: অল্প দামের ফিলামেন্ট বাল্বের দাম বাড়বে। কারণ এর ব্যবহাররোধে এনবিআর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে।
আইপিএস-ইউপিএস: ২ হাজার ভোল্টের আইপিএস-ইউপিএস আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
কফি: ক্লান্তি অবসাদ দূর করতে কফি পানের অভ্যাস পরিহার করুন, কারণ কফি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে কফির দাম বাড়বে।
এছাড়া মোবাইল চার্জার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, গ্রিন-টি, টমেটো কেচাস, টমেটো সস, শেভিং ব্লেড, শেভিং জেল, চশমার ফ্রেম, সানগ্লাস, লুবব্লেন্ডিং ওয়েল, স্ক্র্যাপ, সিগারেট পেপার, সানস্ক্রিন, সিরামিক বাথটব, জিকুজি, শাওয়ার ট্রে, নারিকেল, কাজু বাদামসহ সব ধরনের বাদাম, ক্যালেন্ডার, ছাপানো ছবি (পোস্টার), জার্সি, শীতের কার্টিগান, কাশ্মীরি শাল, চুলের ক্রিম, হেয়ার রিমুভার, সিআর কয়েল, জিপি শিট, সিআই শিট, আমদানিকৃত মধু, ওটস, প্লাস্টিক ব্যাগ, বিভিন্ন ধরনের পেপারের দাম বাড়বে।