চাকরি-বস-প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অভিযোগ
কর্মক্ষেত্রে আপনার অনেক অভিযোগ থাকতে পারে। যে চাকরি করছেন তা ভালো নাও লাগতে পারে। এমনকি বস কিংবা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মনে ক্ষোভ জন্মাতে পারে। কিন্তু এসব ফেসবুকে লিখে আদতে কোনো লাভ নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মোটেও ভালো চোখে দেখবে না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
নিজের বিষয়ে গোপন তথ্য প্রকাশ
হয়তো নিজের বিশেষ কোনো ঘটনা বা বিষয় আপনি অনেক দিন ধরেই আড়ালে রেখেছেন। হয়তো কোনো বন্ধু তাঁর গোপন বিষয় হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দিলেন। উত্তেজনারবশে আপনিও নিয়ন্ত্রণ হারালেন। নিজের বিষয়ে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন, যা হয়তো চাকরি জীবনে আপনাকে মহাবিপদে ফেলে দিল।
আপত্তিকর ছবি
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার কোন ধরনের ছবি প্রকাশযোগ্য তা নির্ভর করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। এমন ছবি মোবাইল বা কম্পিউটারে সংরক্ষিত থাকতে পারে, যা প্রকাশ পেলে আপনার সুনাম ক্ষুণ্ন হবে। এগুলো গোপনেই রাখুন। কোনো মুহূর্তে ভুলে প্রকাশ করে ফেললে আপনার পেশাজীবন হুমকির মুখে পড়বে।
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস
সবারই কিছু নিজস্ব তথ্য আছে, যা কেবল কাছের মানুষগুলোই জানতে পারে। পরিবারের সদস্যদের নাম-পরিচয়, বাড়ির ঠিকানা কিংবা ফোন নম্বর আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তাই বাড়ির বাইরে ছবি তোলার আগে খেয়াল করুন কোথাও ঠিকানা দেখা যাচ্ছে কি না।
অবস্থান
আপনি কোথায় আছেন তা সবার জানার প্রয়োজন নেই। কর্মসংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িত মানুষগুলোর জানার প্রয়োজন হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু কখন কোথায় যাচ্ছেন তা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান দেওয়ার কোনো মানে আছে কি?
দৈনন্দিন কর্মপরিকল্পনা পোস্ট করা
এটা এমনিতেও সবার কাছে বিরক্তিকর ঠেকতে পারে। আবার কিছু তথ্য ক্যারিয়ারের জন্যে মন্দ বয়ে আনবে। যেমন ধরুন— প্রতিদিন সকাল ৭টায় উঠে অফিসে যাওয়া বিরক্তিকর কাজ টাইপের পোস্ট দিলেন। এটা প্রতিষ্ঠান মোটেও ভালো চোখে দেখবে না। এ ধরনের পোস্ট এড়িয়ে চলুন।
পরিচিত বা স্বজনের মৃত্যুর খবর
যখন আমাদের প্রিয় কেউ চলে যান, তখন সেই খবরটি আমরা সবাইকে জানাতে চাই। অনেকেই এ ধরনের খবর খুব দ্রুত ছড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া বেছে নেন। এটি মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
যিনি মারা গেছেন, তাঁর পরিবারের অনেক বিষয় থাকতে পারে, যা আপনি জানেন না। তাদের ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে আপনি উড়িয়ে দিতে পারেন না।