বাবা অনুশীলন করছেন। ছেলে মাঠের পাশে বসে তা দেখছে। যতবার ব্রাজিল কোচ তিতে অনুশীলনের মাঝে বিরতি দিচ্ছেন ততবারই বাবা উঠে গিয়ে ছেলেকে আদর করে আসছেন। ব্রাজিলের অনুশীলনে এই আবেগঘন স্নেহময় দৃশ্য দেখা গেছে শুক্রবার।
নেইমার অনুশীলন করছিলেন মাঠে। যোগ ব্যায়ামের জন্য বিশেষ আসনে পায়ে বল নিয়ে আগুনে হয়ে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন সাম্বার দেশের তারকা। মাটিতে বসে বল পায়ে নাচানো থেকে ড্রিবলিং, পেনাল্টি কিক থেকে ফ্রি কিক, সবকিছুই ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন তিনি।
আর দূরে বসে তা উপভোগ করতে দেখা যায় তার ছেলে দাভিদ লুকা সান্তোসকে। গত আগস্টেই সাত বছরে পড়েছে দাভিদ। ফুটবলে তার দারুণ আগ্রহ।
সেজন্যই সোচিতে ব্রাজিল দলের অনুশীলনে ছেলেকে নিয়ে এসেছিলেন নেইমার। হয়তো রাশিয়ায় তার নিজের খেলা নিয়ে গুঞ্জন থামাতে ছেলের ছোঁয়াই জিয়নকাঠি হয়ে উঠবে মেক্সিকো ম্যাচে।
গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ব্রাজিল যুবরাজ। একটি গোল করেছেন শুধু। তাকে ছাপিয়ে গেছেন বন্ধু ফিলিপে কুতিনহো। গোল করে ও করিয়ে।
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে নেইমারকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছেন হ্যারি কেন, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ও রোমেলু লুকাকু। ফলে নেইমারের ওপর বাড়তি চাপ এসে পড়েছে।
সোমবার কাজানে মেক্সিকোর বিপক্ষে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে নামবে ব্রাজিল। সেই ম্যাচ অগ্নিপরীক্ষা নেইমারের। শেষ আটে যাওয়ার যুদ্ধে নামার আগে ব্রাজিলের জন্য খুশির খবর হল, দগলাস কস্তা চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন।
অনুশীলনে নেইমারের সঙ্গে কুতিনহো, পাউলিনহোরা তো ছিলেন খোশমেজাজে। নেইমারের ফুটফুটে ছেলে তাতে যেন বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে। তাকে আদর করতে দেখা গেছে সবাইকে।
এদিকে ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের বাইরের পাল্টা মানসিক চাপের যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে মেক্সিকো। অধিনায়ক আন্দ্রেস গুয়ার্দাদো বলে দিয়েছেন, ফাউলের সময় নেইমার নানা নাটক করে।
আমরা সবাই ওকে চিনি। মাঠে আমি বা আমার সতীর্থদের ওর চালাকি ধরার সুযোগ নেই। রেফারি যেন নেইমারের দিকে নজর রাখেন।