মঙ্গলবার সারা বিশ্বের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। থাইল্যান্ডের গুহায় আটকেপড়া ১২ কিশোর ফুটবলার আর তাদের কোচকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কিন্তু ওই কিশোর ফুটবলাররা ও তাদের কোচ গুহার মধ্যে রয়েছে তা কী করে নিশ্চিত হয়েছিল পুলিশ?

২৩ জুন থাম লুয়াং গুহায় প্রবেশ করে কিশোর ফুটবল দলটি। গুহার মুখে ফেলে যায় সাইকেল, পিঠব্যাগ ও তাদের জুতা জোড়া। তাদের কারও একজনের জন্মদিন উদযাপন করতেই তারা সেখানে প্রবেশ করে।

কিন্তু সেখানে তাদের সামনে এক থ্রিলার অপেক্ষা করছিল তা তারা একটু পরেই টের পায়। গুহার বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে ভেতরে পানি বাড়তে থাকে।

পানিতে বন্ধ হয়ে যায় 'টি-জংশন' নামে পরিচিত বিপজ্জনক স্থানটি। বাইরে আলো-বাতাস আর দেখতে পায় না তারা। দিন চলে যায়, ছেলে বাড়ি ফেরে না।

পুলিশে খবর যায়। তাদের খোঁজে নেমে পড়ে পুলিশ প্রশাসন।

দুই দিন পর সন্দেহ থেকেই গুহায় কিছুদূর প্রবেশ করেই তাদের পরিত্যক্ত সাইকেল-জুতা ও ব্যাগ পায় পুলিশ। একটু স্বস্তি মেলে সবার মনে। তবে গুহার সামনে এগিয়ে গেলে জানা যায়, গুহার মুখ পানিতে নিমজ্জিত। এরই মধ্যে উদ্ধার টিমও হাজির হয়।

আটকেপড়াদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগও করা সম্ভব হয়নি। ভূগর্ভের নিচে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত গুহাটি পর্যটকদের কাছে খুবই আগ্রহের বিষয়।

গুহায় প্রবেশের পর ভারী বৃষ্টির কারণে জলপ্রবাহ বেড়ে গিয়ে প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকে পড়ে কিশোররা।

 


Comments