হঠাৎ স্কুল ড্রেস বিক্রি বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তাদের তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে সাদা শার্ট। বছরের প্রথম দিকে সাদা শার্ট বিক্রির হিড়িক থাকলেও বছরের মাঝামাঝি অবস্থানে এই বিক্রি অস্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে তাদের কাছে।
বিক্রেতারা জানান, বছরের শেষ দিকে এই সময়ে শার্টের তেমন চাহিদা থাকে না। তার মধ্যে এখন যে হারে তা বিক্রি হচ্ছে, তা বছরের শুরুর দিকের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাজধানীতে স্কুল ড্রেস বা সাদা শার্ট পাওয়া যায় এমন কয়েকটি মার্কেটের মধ্যে অন্যতম নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেট, আল্লাহ করিম সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প’ ও পুরনো কাপড় বিক্রির মার্কেট গরীবুল্লাহ মার্কেট।
কত বিক্রি হয়েছে, জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটের স্কুল ড্রেস বিক্রির সবচেয়ে বড় দোকানটির মালিক আনিসুর রহমান তার হিসেবের খাতা খোলেন। এসময় তিনি জানান, ‘বিষয়টা অবাক করার মত। এই টাইমে কখনো এত শার্ট বিক্রি হওয়ার কথা না। যা বিক্রি হয়েছে তার সব সাদা আর কালো স্কুল ড্রেসের শার্ট।
বুধবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে।‘কে ছাত্র, কে কি? তা তো আমরা জানি না। আমগো কাছে তো সব কাস্টমার। আর আমরাও তো কোনো বেয়াইনি জিনিস বেচি নাই।’
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরপর এগিয়ে আসে অন্যান্য স্কুল কলেজের ছাত্ররা।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকেই বলছেন, যারা এই কাজ করছে, তারা সবাই ছাত্র কি না, সন্দেহ আছে। তাদের ব্যবহার নিয়েও সংশয় আছে।
এর মধ্যেই স্কুলের পোশাক বিক্রির এই তথ্যটি সন্দেহকে আরও ঘনিভূত করেছে যে ছাত্রদেরকে আবার কেউ ব্যবহার করবে কিনা।
এর মধ্যে আন্দোলনে ছাত্ররা ছাড়াও বিভিন্ন গোষ্ঠী সম্পৃক্ত হয়ে গেছে বলে তথ্য মিলেছে।
শুক্রবার শাহবাগ এলাকায় গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার সময় আমিনুল ইসলাম নাম উল্লেখ করে বাসদ নেতা পরিচয় দেয়া একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সূত্র : ঢাকা টাইমস