২০২৩ সালের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে এমন নিপীড়নের অভিযোগ তোলে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেন এক শিক্ষার্থী।
সেই আবেদনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন আবেদনমূলক আচরণ তথা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন, ঘাড় ম্যাসেজ করানো, স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করা এবং জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরার অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগী।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ বি এম মানিকের বিরুদ্ধে। ওই সময় এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
পাশাপাশি শিক্ষক মানিককে বিভাগের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২৪ জানুয়ারি জমা দিয়েছে কমিটি। আগামী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, একটি বা দুটি নয়— এমন নিপীড়নের ঘটনা অসংখ্যবার ঘটছে। অনেক শিক্ষার্থী লোকলজ্জার ভয়ে কিংবা একাডেমিক ক্যারিয়ার বাঁচাতে নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ প্রতিবাদ করলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। উল্টো হয়রানির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। অবন্তিকার ঘটনাটি আবারও আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আর বসে থাকার সময় নেই। এখনই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আগামীতে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।